আত্মকথন

অন্ধকার (জুন ২০১৩)

মোঃ সাইদুল হাসান(সাদ্দাম)
  • 0
  • ২৯
ভোর না হতেই ঘর থেকে কয়েক টুকরা কাঠ মাঁচার ওপর এনে হাতুড়ি বাডাইল দিয়া ঠস ঠস শব্দ শুর“ করে। বাডাইল কাঠের ওপর রেখে হাতুড়ি দিয়া ঠস ঠস শব্দ করে কাজ করা সুর“জ মিয়ার প্রতিদিনের ডিইটি। কোন দপ্তরের কর্মী না সুর“জ তাই বিনা বির“তিতে নিত্যদিন তাকে কাজ করতে হয়। ঘরে তার অনেক খানে ওলা এক দিন কাজে ¶েমা দিলে এক দিন উপবাস করতে হয় ঘরের সব খানে ওলাদের। দোকান দেওয়ার মত ওসাৎ সুর“জ মিয়ার নাই। তাই ঘরের সামনে মাঁচা পেতে নিজের কিনা কয়েক টা যন্ত্র দিয়া কাঠের ফার্নিচার বানায় তা হাটে ছালান দিয়ে যা পায় তা দিয়ে চলে তার সংসার। দরিদ্র কর“নের ঘরে তার জন্ম। জন্মের পর থেকে ঘর থেকে তাদের দরিদ্র কখনও ভুল করেও দিন কয়েকের জন্য অন্য কোথাও বেড়াতে যায় নাই। দরিদ্রের ঘরে জন্ম নিলেও সুর“জ মিয়ার মনটা বিরাট বড়। ভালবাসায় তার মন পরিপূর্ণ। ক’দিন আগে ঢাকার শহর গিয়া সুর“জ মিয়া গোপনে একটা নিকা করে। সেখানে কোন সš—ান হওয়ার আগেই তার দ্বিতীয় স্ত্রী রসু জেনে পেলে। রসু পরে ঢাকায় গিয়া পুলিশ দিয়া সুর“জ মিয়াকে মার খাওয়ানোর পরে ঢাকা থেকে বাড়ী নিয়া আসে। কিন্তু ¯^ামীকে একেবারে তালাক দেয় নি। প্রথম স্ত্রী ছামেলা বৃদ্ধ তার আর ভেজাল করার ইচ্ছা নাই মন ঠাসা দিয়া বাপের বাড়ী পইড়া রইছে। ছামেলার ঘরে তিন ছেলে আর তিন মেয়ে। ছেলে ঝর“ মিয়া ঢাকায় পড়ালেখা করতো বাপের সাথে থাইকা কিন্তু বাপের বেসামল অবস্থা দেখে ঝর“ মিয়া ভেঙ্গে পরে নি। পাশের বাড়ীর সুর“ত মিয়ার দোকানে থাইক্যা পড়ালেখা চালায় সে। ছোট ছেলে রবি বাপের কাজের ফাঁকে সাহায্য করে। ছোট ছেলে মইস এখনও ছোট। মেয়েদের নিকা দিয়া দিছে সুর“জ মিয়া আগেই। ্এখন সুর“জ মিয়া নিয়মিত বাড়ী থাকে। তার কু-চরিত্রের কথা শুনে তার মেয়েরা তার কোন খুঁজ খবর নেয় না। সেও কোন উপল¶ে মেয়েদের খবর নেয় না। হাতুড়ি বাডাইল দিয়া কাঠের ওপর বিভিন্ন খাঁজ কাঁটে। মাঝে মাঝে মাঠে ফসল চাষ করে। ছেলেকে পড়ালেখার খরছ দেওয়া থাক নিজের মুখ দেখানোর ওসাৎ নাই। কেননা এরূপ লাইক বেডা ঘরে থাকতে কের“ম বেডার মন চায় আরেক টা নিকা করার। পরে আরেক টা। বাপ বেটার খবর নেয় না বেটা বাপের খবর নেয় না। নিজে নিজে ঘৃনাও করে না ঝর“ মিয়া। মনোযোগ দিয়ে পড়ালেখা করছে সে। গেরাম থেকে কোন মতে ম্যাট্রিক পাশ করে ঢাকা তেজগাঁও পলিটেকনিক্যালে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে ঝর“ মিয়া। দিনে কলেজে সময় কাঁটায় কলেজ শেষে তেজগাঁও থেকে পায়ে হেটে শাহাজাদপুরে আসে সর“ত মিয়ার দোকান ছাড়া তার শেষ ঠাঁই কোথায় সে জানে না। দোকানে যখন কাজ চলে তখন ঝর“ মিয়া বাহিরে ঘুরে। মাঝে মাঝে এখানে সেখানে যায়। কাজ শেষ হলে সর“ত মিয়া ঝর“ মিয়াকে ডেকে আনে। সর“ত মিয়ার তিন ছেলে, নয়ন তারা আর খাজা। সর“ত মিয়া ঝর“ মিয়াকে নিজের পোলার মত মনে করে। ছেলেদের যা খেতে দেয় ঝর“ মিয়াকে তা দেওয়ার চেষ্টা করে। মাঝে মাঝে তাকে কিছু পকেট খরছ দেয় সর“ত মিয়া। কিন্তু কেন দেয় তা সুর“ত মিয়া কখনও ভাবে না। সহজ সরল মানুষ সুর“ত মিয়া। মনের মাঝে তার কোন ফেছ নাউ। নিজের ছেলেদের যে চোখে দেখে ঝর“ মিয়া ঠিক এক চোখেই দেখে সুর“ত মিয়া। দোকানে যখন কাজ থাকে না ঝর“ মিয়া দোকানে বসে পড়ে। সে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে তাই, হাতে কলমে শি¶ার তাগিদে মাঝে মাঝে সে নষ্ট রেডিও টিভি নিয়ে সর“ত মিয়ার দোকানে স্কুল্ভ দিয়া গুতাগুতি করে। এক সময় ঠিকও করে পেলে। সর“ত মিয়ার সেলাই মিশিন নষ্ট হয়ে গেলে ঝর“ মিয়া ঠিক করতে পারে।
ঝর“ মিয়া ঢাকায় কেমন আছে কার কাছে আছে কেউই তার খবর নেয় না। না মায়ে না বাপে তবুও সে বুকে কষ্টের শিককে মোমের মত গলিয়ে পড়াশুনা করে। পড়ালেখার জন্য কিছু টাকা লাগলে মাঝে মাঝে ঝর“ মিয়া সর“ত আলীর কাছ থেকে চাইয়া নিত। সর“ত মিয়াও দিতে দ্বিধা করতো না। দিনের পর দিন কষ্ট বুকে পেতে নিয়ে ঝর“ মিয়া পড়ালেখা করতে দ্বিধা করেনি। মাঝে মাঝে সে খাবার না পেয়ে উপবাস করে। সুখে-দুঃখে তার খবর নেওয়ার মত কোন মানুষ নাই তার পাশে একা মাঝে মাঝে রা¯—ার পাশে বসে কান্নায় ভেঙ্গে পরে সে।
রাত যায় দিন আসে ঝর“ মিয়া তার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া কৃতিত্বের সাথে শেষ করলো। হাতে কলমে অনেক কাজ শিখে পেলেছে সে। এখন একটা চাকরি হলে তার ভাল হয়। কিন্তু যে দিনে দু বেলা পেট ভরে খেতে পায় না তারে আর কে চাকরি দেবে। কলেজ থেকে পাশ করার পর ঝর“ মিয়া বেশির ভাগ সময় সর“ত মিয়ার দোকানে কাটায়। সুর“ত মিয়ার রেডিও নষ্ট হয়ে গেল ঠিক করে দেয়। সেলাই মিশিন নষ্ট হয়ে গেলে সুর“ত মিয়া চিš—া করে না ঝর“ মিয়া আছে না! ঠিক করে দেয়। বিদ্যুতের কাজে কোন সমস্যা হলে ঠিক করে দেয়। কিন্তু এভাবে তো তার জীবন চলে না। পড়ালেখা করে যে সনদপত্র অর্জন করেছে তা কাজে লাগতে হবে। তাই মাঝে মাঝে ঝর“ মিয়া বিভিন্ন কোম্পানীতে তার জীবনবৃত্তাš— নিয়ে যায় কিন্তু কাজ জানলে তো আর হবে না। বাংলাদেশে চাকুরি নিতে হলে আগে ঘুষ দিতে হয়। ঝর“ মিয়া নিজের আহার জোগার করতে সদা হতাশার গ­ানি মুছে কে তাকে চাকুরি নেওয়ার জন্য ঘুষের টাকা দিবে?
তবুও মাঝ পথে ভেঙ্গে পরেনি ঝর“ মিয়া সুর“ত মিয়ার দোকানে কাটাচ্ছে দিন-রাত। আর দোকানের মিশিন আর দজভাঙ্গা রেডিও-টিভি বিভিন্ন যন্ত্র দিয়ে ঠিক করে আর নিজের হাতটার দ্র“তি বাড়ায় ঝর“ মিয়া। ঝর“ মিয়ার এ অবস্থা দেখে সুর“ত মিয়াও চিন্তিুত,
আহারে! কেমন বাবা তার আর কেমন মা! একটা দিন খবর নেয় না কেমন আছে পোলাডা! পরে ঝর“ মিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলে, এই বেডা ইঞ্জিনিয়ারি পড়ছত। এখন বইসা না থাইক্যা বিভিন্ন খবরের কাগুজ পড় হেনো চাকুরির বিজ্ঞাপন দেখবি। হাজার হাজার মানুষ চাকুরি পায় আল­াহ দিলে তুইও পাইতি পারছ। বইয়া থাইস না বেডা।
সুর“ত মিয়ার কথা ঝর“ মিয়া একেবারে পালাইয়া দেয় না। মুর“ব্বির কথা মত প্রতিদিনই ঝর“ মিয়া খবরের কাগজ কিনে আর দেখে কোথাও কোন চাকুরির সন্ধ্যান পাওয়া যায় কিনা।
হঠাৎ ঝর“ মিয়া একদিন খবরের কাগজে পড়তে পেল, সিঙ্গাপুরের ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ করা হবে! কিন্তু এতো আকাশ পাতাল চিš—া ঝর“ মিয়া বাংলাদেশেই মাঝে মাঝে উপবাস করে। যার খবর মা বাবা পর্যš— নেয় না সে বিদেশ যাবে। কে তাকে বিদেশ পাঠাবে, কে তাকে টাকা দেবে?
হাতে খবরের কাগজটা নিয়ে সুর“ত মিয়ার দোকানে গিয়ে বসে ঝর“ মিয়া। তার মুখের দিকে তাকিয়ে সর“ত মিয়া অনুমান করে, আজ মনে হয় পোলার মন খারাপ। পরে ঝর“ মিয়ার মাথায় হাত দিয়ে বলে, কি রে বাপ তোর মন খারাপ? কেউ কিছু বলছে নাকি তোরে?
ঝর“ মিয়া মাথা নাড়িয়ে বুঝায়,না।
পরে হাতের খবরের কাগজটা পড়ে সর“ত মিয়াকে শুনায়, সিঙ্গাপুরের ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ চলছে আসবা মাত্র জয়েন। ওই দেশে যেতে টাকা লাগবে সত্তর হাজার। সর“ত মিয়া শুনে খুব খুশি হয়। পরে বলে ওঠে, ভালই তো অইছে তারাতারি অনেক টাকার মালিক অইয়া যাইতে পারবিরে ঝর“ মিয়া।
আমারে বিদেশ যাওয়ার জন্য টাকা দিবে কে কাকু?
ক্যান বাড়ী যা তোর বাপ মার কাছে যা তারা মিল কইরা দিব।
যারা আমার খোঁজ খবর নেয় না তারা আমারে টাকা দিব আমনে কন?
আরে বেডা যা মা বাপের হাত ধইরা টাকা মিল কর গিয়া। এক সময় তোর টাকা মাইনসে খাইবো এ সুর“ত মিয়া কইলাম। যা যেমনে অক টাকা মিল কর দেরি করিস না।
সুর“ত মিয়ার কথা শুনে ঝর“ মিয়া পর দিন ভোরে বাড়ী চলে যায়। বাড়ী গিয়া ঝর“ মিয়া মা বাবাকে বুঝায়। বিদেশে যাওয়ার ব্যাপারে সব কথা খুলে বলে তার কথা শুনে সুর“জ মিয়া বলে ওঠে, আমরা এত টাকা পামু কইরে বাপ?
কাঠ মে¯ু—রী কইরা যা পাই তা দিয়া তো সংসার চলে না রে। তার পরেও তো বিভিন্ন যাগায় দেখ কিছু টাকা মিলাতে পারছ কিনা আমিও কিছু দিমু।
ঝর“ মিয়ার বিদেশ যাওয়ার কথা তাদের বাড়ির আসমত মিয়া শুনে। পরে ঝর“ মিয়াকে খবর দেয় আসমত, যেন তার কথা শুনে সে। ঝর“ মিয়া আসমত মিয়ার কাছে যায়।
আস্সালামু আলাইকুম।
আলিকুম সালাম, কিরে ঝর“ ভালা আছত নিরে?
আছি কাকু কেমন আছেন আপনি?
হুনলাম তুই নাকি বিদাশ যাছ?
টাকা পয়সা জোগার হলে তো যাইতাম কাকু।
কত টিয়া লাগে হুনি?
সত্তর হাজার লাগে কাকু
তো কত টিয়ি জোগার অইছে?
এখনও হয় নাই বাবায় কইছে কিছু দিব আর কিছু পারলে আমি জোগার করতাম বলছে।
আইচ্ছা ঠিক আছে কত মিল অয় দেখ আর আমারে জানাইছ কইলাম ।
আইচ্ছা কাকু আপনারে বলুম
এই বলে ঝর“ মিয়া চলে যায়।
আসমত মিয়ার বউ কইতরি পান ছেচে আর বলে। পোলায় তো ভালাই আগ্যাইছে হুনছেন নি দুলুর বাপ?
হুনছি গো। বিদাশ গেলে সকালে ধনি অইয়া যাইবো পোলায়।
একটা কথা কই দুলুর বাপ?
কি ক?
আমাগো সেমুতো বড় অইয়া যাইতাছে দেহেন নি?
দেহি দেহি দেইখ্যাই তো ঝর“রে ডাকছি।
ক্যন? ডাকছেন তাতো দেখলাম। পোলার বিদাশ যাওন নিয়া কথা কইছেন এই তো।
আরে না বউ।
তইলে কি দুলুর বাপ?
আশেপাশে মাথা ঘুরিয়ে আসমত দেখে নিল কেউ তাদের কথা কান দিল নি পরে চাপা ¯^রে বলে ওঠে, পোলার কাছে আমাগা সেমুর বিয়া দিমু।
আসমত মিয়ার কথা শুনে কইতুরি আকাশ থেকে যেন মাটিতে পরে।
কন কি দুলুর বাপ? আমাগো সেমুরে ঝর“ মিয়া বিয়া করবো নি? পোলায় শি¶িত। বিদাশ যাইবো কাম করতো, আমাগো মাইয়ারে বুঝি পোলায় বিয়া করবো!
যেন করে হেই কাম করতাছি বউ তুই খালি ক পোলারে তোর পছন্দ অইছেনি আমার কিন্তু অইছে।
কইতুরির বয়স পয়তালি­শ থেকে ষাটের কাছাকাছি। মাত্র পচিশ বছরের যুবতী হয়ে আসমত মিয়ারে জড়িয়া ধরে কয় আমার না বেশি পছন্দ অইছে ঝর“ মিয়ারে আমনে পারবেন নি তার কাছে আমাগো সেমুরে বিয়া দিতেন? মাইয়াডা একটু কালা। পোলায় জানি পছন্দ করেনি!
আরে বউ পছন্দ যেন করে সে কাম করতাছি তুই মাইয়ারে কবি পোলারে দেখলে যেন বার বার তার সামনে যায় ক্যান? একটু হাইজ্যা পইড়া থাকতো কইছ মাইয়ারে।
আইচ্ছা ঠিক আছে। কমু আমনে চিš—া কইরেন না দুলুর বাপ। কিন্তু কেমনে পোলারে রাজি করাইবেন?
পোলাই না বিদাশে যাইবো বিদাশে যাওয়ার জন্য আমি টিয়া দিমু। তার পর তার কাছে সেমুরে বিয়া দিমু কুশলে। তুই বুঝদি না বেডি।
পরে লুঙ্গিটা গোছ দিয়ে মাঠে চলে যায় আসমত মিয়া। গর“র জন্য ঘাস কাটবে।
ঘাস কাটা শেষ হলে আসমত মিয়া বাড়ী আসে। গর“র সামনে ঘাস দিয়া ঘরে যায় আসমত। কইতুরিকে জিজ্ঞাসা করে, আমি যাওয়ার পর ঝর“ মিয়া আর আইছিল নি গো?
না আইয়ে না তো।
ও তইলে মনে হয় বাইত আছে ।
দেয় কয়ডা ভাত দে খাই। পরে সুর“জ গো বাইত যাই। হুইন্না আই কি অব¯—া পোলার।
কইতুরি আসমতের ভাত দেয়। আসমত ভাত মাটিতে লেপটি দিয়ে বসে খায়। তার পর পড়নের লুঙ্গিতে হাত মুছতে মুছতে সুর“জ মিয়ার বাড়ী যায়।
সুর“জ ভাই আরে ও সুর“জ ভাই
আইয়েন আসমত ভাই। কি অইছে বেশি করে ডাকতাছেন যে?
তোর পোলায় কই?
কই জানি গেছে কে কইবো?
হুনলাম বিদাশ যাইবো বেলে?
ভাত খাইতে ভাত পায়না আবার বিদাশ।
ক্যান কি অইছে পোলা মনে অয় বিদাশ যাইতে পারতো না?
ক্যামনে যাইবো মিয়া। সত্তর আজার টিয়া কই পাইবো মিয়া সত্তর আজার টিয়া কি বাইত দাড়ের কথা?
আসমত মিয়া ফিসফিস করে বলে, বিয়া করাইয়া দিলে তো যৌতুক পাইবো অনেক তা দিয়াও তো বিদাশ যাইতার বো।
কিছু কইলা নাকী আসমত ভাই?
না ভাই। আমনের পোলারে একটা বিয়া করাইলে তো হয়ুর বাড়ী থাইক্যা টেকা লইতে পারেন। হেই টেকা দিয়া বিদাশ যাইবো পোলায় আর কি?
কিন্তু আসমত ভাই ঝর“র মত বেকার পোলারে কে মাইয়া দিবো?
কে দিবো মানে, দেশে কি মাইয়ার অভাব?
আমনে চাইলে আমাগো সেমুরে আমনের পুতের বউ কইরা দিমু আর পোলারে বিদাশ যাওনের লাইগ্যা কিছু টেকাও দিমু। আমনে কিছু দিবেন শেষ পোলায় বিদাশ যাইবো।
কি কন ভাই? হাসা কন?
তুমি চাইলে কয়েক দিনের মধ্যে কাজ সার“ম।
আইচ্ছা ঠিক আছে পোলায় বাইত আইয়োক আমি পোলারে সব খুইল্যা কই।
দেহ কইয়া কি অয়। আমি তোমাগো ভালার লাইয়ে কই।
কথা খারাপ কন না ভাই আমি তো ঠিক আছি এহন পোলায় আইয়োক।
দুপুর বেলা পেটে যখন ¶ুধা,ঝর“ মিয়া কোথা থেকে যেন চার দিনের অনাহারির মত বাড়ী আসলো। তার মা থাকে তার নানার বাড়ী আর সৎ মা তাদের বাড়ী। সৎ মাকে ডেকে বলে ওঠে, ভাত দেন গো খিদা লাগযে।
সৎ মা বেটকি মেরে বলে ওঠে, এহানে আজির নাই লইয়া খা পাললে। নিজে নিজে আবার বলে ওঠে, রাইন্দা দেই আবার বাইরা দিতাম।
ঝর“ মিয়া শুনেও না শুনার ভান ধরে ঘরে চলে যায় পরে নিজে ভাত বেড়ে খাওয়া-দাওয়া করে বাড়ী ওঠোনে বসে, এমনই সময় তার বাবা মাঠ থেকে গর“র জন্য টুরকিতে করে ঘাস নিয়ে ওঠোনে পালাায় ঝর“ মিয়াকে দেখে বলে ওঠে, কই আছিলি বেডা তুই? তোরে যে খুইজ্যা আমি দুনদুন করতাছি।
ক্যান কি হয়েছে?
তোর টিয়ার মিল পাওয়া গেছে।
ঝর“ মিয়া যেন আকাশ থেকে মাটিতে পড়লো বাবার কথা শুনে মিটিমিটি হাসি দিয়ে পরে বলে ওঠে,
কেমনে আব্বা টিয়া মিল হয়েছে?
তোর আসমত কাকু সকালে আমাগো বাড়ী আইয়া সুন্দর একখ্যান প¯—াব দিছে!
কি প্র¯—াব আব্বা?
আসমত মিয়ার মাইয়্যা সেমুরে তোর কাছে নিকা দিবো আর তোরে বিদাশ যাওনের লাইগ্যা যাওনের সুময় তোরে কিছু টিয়া দিবো।
কি কন এসব আজে বাজে কথা! আমি আসমত কাকুর মেয়েরে বিয়া করতে যামু কেন?
ওনার মেয়েরে বিয়া করলে এতো কষ্ট করে তবে কেন পড়াশুনা করছি? মুর্খই থাকতাম আগে মুর্খ মেয়ে বিয়া করলে। তাছাড়া এমন মাইয়া দেখতেও কেমন দেহায় বিয়া করলে এর চাই ভালা মাইয়া বিয়া কর“ম।
আরে বেডা দেখতে যের“ম অক তোর বিদাশ যাওনের টাকা অইতাছেনা আর কি সমস্যা?
আমার বিদাশ যাওন লাগতো না। আমি বিদেশ যাইতাম না তবু আমি এমন মাইয়ারে বিয়া করতাম না।
না করলে আমাগো কি। তোরই কপাল খারাপ। বিদাশ যাওনের এতো টিয়া আমি ক্যামনে জোগার কইরা দিমু? আমি পারতাম না। তুই মাইয়ারে বিয়া করলে আসমত আলী বলছে তোরে বিদাশ যাওনের সুময় কিছু টিয়া দিবো। আমি কিন্তু বাবা এতো টাকা দিতাম পারতাম না।
না পারলে না পারেন। সিঙ্গাপুর না যামুূূূূূূূূূূূূূূূূূূ। আমি এমন বেছুর“ত মুর্খ মাইয়া বিয়া করতে পার“ম না। আমার যদি এরূপ মাইয়া বিয়া করতে হয় তাহলে এতো কষ্ট করে পড়ালেখা করছি কি কারণে।
যে কারনে শি¶িত অইছত সে কারণই বিয়া করবি। মাইয়ারে বিয়া করলে তোই বিদাশ যাইতে পারবি। তা না হলে তো পারবি না বেডা।
কথা শুনে ঝর“ মিয়া চিš—ায় পরে যায়। পরে কোন কথা না বলে সোজা আসমত আলীর বাড়ী যায়।
আসমত কাকু। ও আসমত কাকু।
কে রে? ঝর“ মিয়া? আয় আয়। বাপ আয়।
কাকু আপনি কি বলছেন আব্বার কাছে?
বাপ তোরে ছোট কাল থেকে আমার পছন্দ অয়। ছোট কাল থেকে তুই কোন আদর সোহাগ পাছ না। আমি তোরে খুব আদর করি। তাই বলছি তুই আমার মাইয়া সেমুরে বিয়া করলে আমার জামাই অইয়া সারা জনম আদর সোহাগ পাইয়া যাবি। তাছাড়া বিদাশ যাওনের টেকা কিছু আমি তোরে দিমুই। বিদাশ যাইয়া টেকা পয়সা কামাই করবি। আমার মাইয়ারে নিয়া সুখে থাকতি পারবি। আর যদি না বিয়া করছ তাহলে তোর ব্যাপার।
না কাকু থাক আপনে রাগ হইয়েন না। আমি আব্বারে পাঠাইতাছি।
যা তারাতারি পাডা।
ঝর“ মিয়া দৌড় মারে বাড়ী। তরিঘরি করে বাবারে আসমত আলীর বাড়ী পাঠায়।
সুর“জ মিয়া আসমতের সাথে যুক্তি করে দুই দিনের মধ্য বিয়ে সম্পন্ন করেন। সেমুকে ঝর“ মিয়ার পছন্দ না হলেও বাধ্য হয়ে মেয়েটিকে বিয়া করে পেলেছে। বিয়াটা ঝর“ মিয়া সেমুকে করেনি করেছে বিদাশ যাওয়ার জন্য। টাকার জন্য।
বিয়া করে দুই দিন পরে ঝর“ মিয়া ঢাকা চলে যায় সুর“ত আলীর দোকানে। গিয়া সুর“ত আলীকে সব খুলে বলে সে। সর“ত আলী পোলার কথা শুনে খুশি হয়। বলে ওঠে হাসতে হাসতে, ওহ। বেডা তোর তো কপাল খুঁলছে। বিদাশ যাওনের পুথ পাওয়া গেছে। যা বেডা আর ক দিন দেশে থাইক্যা বিদাশে যা। দেখ গিয়া জীবনডারে পাল্টাাইতে পারছ নি। যা।
সুর“ত মিয়ার কথা শুনে ঝর“ মিয়া কেঁদে দেয়। সুর“ত মিয়ার হাত ধরে ঝর“ মিয়া কেঁদে কেঁদে বলে ওঠে, কাকু আপনার দোকানে কত দিন মাস আমি আছিলাম। আপনার দোকানে থাইক্যা থাইক্যা পড়ালেখা করছি। আমারে আপনে অনেক উপকার করছেন। যে কাজ আমার বাবা আমার জন্য করতে পারে নাই সে কাজ আপনি করছেন। আমি যদি বিদাশ যেতেই পারি। কাকু আপনার সাথে যোগাযোগ রাখুম কাকু। আমার যদি টাকা পয়সা হয় আমি আপনার ছেলেদের উপকার করার চেষ্টা কর“ম। আপনি আমাকে দোয়া করেন।
আমার পোলাগের উপকার করতে লাগবো না। আগে তুই যাইয়া তোর জীবনডারে বদলা। তুই জীবনে অনেক কষ্ট করছত। আমি তোর জীবনে সুখ দ্যাখতাম চাইরে। যা বিদাশ গিয়া আমারে উপকার করতে লাগদো না তুই যে ভালা আছত হেই খবর আমার কইছ। যা বাড়ী যা। আর ধর। সর“ত আলী ঝর“ মিয়ার হাতে পাঁচশত টিয়া দিয়ে বলে ওঠে, আমার তো তোরে টাকা পয়সা দেওনের সেই ওসাৎ নাই ধর এই টিয়া দিয়া অš—ত একটা গঞ্জি আর শাট কিনিছ। আর বাড়ী গিয়া সবার কাছে দোয়া লইয়া বিদাশে যাওয়ার পথে পা দিছ। যাওনের সুময় আমার দোয়ানে আইছ।
আইচ্ছা ঠিক আছে কাকু আমি তাহলে বাড়ী যাই?
আইচ্ছা যা।
ঝর“ মিয়াকে বিদায় দিতে সুর“ত মিয়ার কষ্ট হচ্ছে। তার দোকানে অনেক দিন থেকে পড়ালেখা করছে ঝর“ মিয়া। ঝর“ মিয়াকে সুর“ত মিয়া নিজের ছেলের মত দেখতো। ছেলেদের মত আদর করত। আজ তার কষ্ট হচ্ছে ঝর“ মিয়াকে বিদেশ যাওয়ার জন্য বিদায় দিতে। তবুও সে ঝর“ মিয়াকে বিদেশ যাওয়ার জন্য দোয়া করে দেয়।
ঝর“ মিয়া বাড়ী চলে এসে সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য ব্যাগ লাগেছ গোছায়। কাপড়-লতা বাজ করে। পেছনে পেছনে তার স্ত্রী সেমু তাকে সাহায্য করতে চায়, সে পাত্তা দেয় না। তবুও সেমু তার পিছ ছাড়ে না। তাকে সাহায্য করতে ব্যতি ব্য¯— থাকে।
যখন ঝর“ মিয়া বিদেশ যাওয়ার জন্য ঘর ছাড়বে তখন তার মনটা কেমন যেন করছে। স্ত্রী সেমুর জন্য মন টা শুধু আনচান আনচান করতে ছিল তার। তার জীবনে বিন্দু মাত্র আদর কারও কাছ থেকে সে পায়নি। শেষ মুহুর্তে স্ত্রী সেমু তাকে আদর করে। সুখ-দুঃখের ভাগ নিতে উদাসীন থাকতো। স্ত্রী সেমু বিদেশ যাওয়ার ¶ণে তার মনটা একদম উদাসীনতায় পরে যায় সেমুর জন্য। পরে ঘরে গিয়ে সেমুকে একটু আদর করে আসে ঝর“ মিয়া। উপদেশ দিয়ে দেয়, কারও সাথে জগড়া করনা। বাড়ী থেকে বেড় হইওনা। আমার টাকা হলে আমি তোমাকে বিদাশ নিয়া যামু। তুমি ভাল থেক সেমু।
পরে ঝর“ মিয়া একে একে বাড়ীর সকলের সাথে দেখা করে তার মামার বাড়ী যায় মায়ের সাথে দেখা করার জন্য। তার পর সোজা ঢাকা সুর“ত মিয়ার দোকানে। আজ রাত সে সুর“ত মিয়ার দোকানে শেষ ঘুম ঘুমাবে সকালে সে সিঙ্গাপুর যাবে। রাতে সুর“ত মিয়ার এক পাশে তার ছোট ছেলে খাজা আর অন্য পাশে ঝর“ মিয়া শুয়ে রইলো। ঝর“ মিয়াকে ঘুমের ঘরে সুর“ত মিয়া বলে ওঠে, বড় অইলে তোর মত গরীব যারা তাদের উপকার করিস। কারও ¶তি করিস না। মানুষের মত মানুষ অইছ। হেতে কে আব্বা?
সুর“ত মিয়ার ছোট ছেলে খাজা বলে ওঠে। তার কথা শুনে ঝর“ মিয়া খাজার গালে চিমটি দিয়ে বলে ওঠে, আমি তোর ভাই রে ভাই।
হেইতে তোর ভাই অইবো। কাইল বিদাশ যাইবো পড়ালেখা করছে দেশো। তুইও পড়িছ কইলাম বাপ সুর“ত মিয়া খাজাকে বুঝায়।
হেতে অনেক বড় অইবো আব্বা। হেতার গাড়ী অইবো। বাড়ী অইবো ঠিক না আব্বা?
হু। অন ঘুমা রাইত অনক অইছে।
পরে ঘুমিয়ে পরে সবাই।
সকাল হলে ঝর“ মিয়া সুর“ত মিয়ার দোকানে রাতের ভাত খাওনের পর যে ভাত ছিল তা দোকান থেকে পাঁচ টাকার ভাজি এনে খেল সবাই মিলে। বেলা দশটায় ঝর“ মিয়া ঢাকা ছেড়ে সিঙ্গাপুর চলে যায়। সিঙ্গাপুর গিয়ে ঝর“ মিয়া দিন কয়েক সুর“ত মিয়ার সাথে যোগাযোগ করে। কাজের ব্য¯—তা আর টাকা কামানোর নেশায় তার সময় থাকে না। সে দিনের মানুষগুলোর কথা যাদের সাথে থেকে সে পড়ালেখা করেছিল।
দিনের পর দিন ঝর“ মিয়ার টাকা রোজগার বাড়তে থাকে। কষ্টের ঝরে ঝর“ মিয়া তার জীবন গড়েছিল প্রথম এখন টাকা কামানোর ঝরে নিজেকে মাতিয়ে তুলছে। অনেক আয়ও হয় তার। টাকা আয়য়ের বাড়ে সে তার স্ত্রী সেমুকে তার কাছে নিয়ে যায়। পরে তার মাকে। মাকে ক’দিন রেখে বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়। বাড়ী এসেই তার মা মারা যায়। তার কাছে কে আর থাকে? বাবা তার এক দিন হঠাৎ মারা যায়। এখন আছে তার সৎ মা আর সৎ ভাই বোন। আপন ভাই বোনের মধ্য একজনকে সে বিদেশ নিয়ে গেছে ছোট ভাইকেও ক’দিন আগে নিয়ে এসেছে। সাথে শাশুড়ীকে। তার শাশুড়ী তার কাছে থাকে সিঙ্গাপুর। তার স্ত্রীর সাথে কোন মানুষ নাই বলে। মাঝে মাঝে গ্রামের বাড়ী বেড়াতে আসে ঝর“ মিয়া। সৎ মা আর ভাই বোনদের মোটের উপর খুঁজ নেয় সে তার বউয়ের পছন্দে। ঝর“ মিয়ার বন্ধু-বান্ধব এখন বিভিন্ন দেশের সেরা ব্যবসায়ী রাজনীতিবিদরা। দেশের নিরহদের কথা সহজে ভুলে গেছে সে। ক’ দিন আগে সর“ত মিয়ার পোলা ঝর“ মিয়া সমন্ধে অনেক জেনেছে। সর“ত আলী তার ছেলেকে বলে ঝর“ মিয়াকে ফোন দিয়ে আমার পরিচয় দিস তোরে চিনবো। খাজা ফোনে ঝর“ মিয়াকে পরিচয় দেয়। ঝর“ মিয়া চিনে।
কিন্তু ঝর“ মিয়া খাজাকে ফোনে বেশি সময় দিতে পারে না। সে এখন আর আগের মত অবসর না। অনেক ব্য¯—তার মাঝে তার দিন বাহিত হয়। অতীতকে সহজে ভুলে গেছে সে। খাজা মাঝে মাঝে ঝর“ মিয়াকে ¯^রন করে ফোনে কিন্তু ঝর“ মিয়া এখন অনেক ব্য¯— ঝর“ মিয়া আর আগের ঝর“ মিয়া নাই। যে গাঁয়ের শত দরিদ্রের মাঝে একজন ছিল সরল মনের ঝর“ মিয়া আজ সহজে পরিবর্তন হয়ে গেছে। জন্মগত ভাবে বাংলাদেশি ঝর“ এখন সিঙ্গাপুরের বাসিন্দা হয়েগেছে। তার বাড়ী এখন সিঙ্গাপুরে। সারা দিন ঝর“ মিয়া চীন হংকং লন্ডনে থাকে। দিন শেষে রাতে ঝর“ মিয়া নিজের বিমানে বাসায় যায়। বিশাল মনের অধিকারী ঝর“ মিয়া এখন বিশাল ধন-সম্পদের মালিক। গ্রামের সাধারন মানুষের ছেলে ঝর“ মিয়া আজ অসাধারন ধনী ব্যক্তি। সে আজ ভাল আছে। তার দুই মেয়ে আর স্ত্রী আর শাশুড়ী নিয়ে সুখেই আছে। জীবনের চক্রটা ঝর“ মিয়ার বক্র রেখার মত ছিল। ঝর“ মিয়া আজ নিজেই বক্র হয়ে গেছে। পুরনো দিনের কথা নিয়ে ভাবনায় বসার সময় নেই তার। এক দিন সে খেতে পায়নি। আজ তার বাড়ীর বাড়তি খাবার রা¯—ার কুকুরেও খায়। নিজ গ্রামের নয় দেশেরও নয় বিদেশী কুকুর। নিজ গ্রামের মানুষ বড়ই নিরহ। তার কিশোর জীবনে দেখা বহু মানুষ আজও তাদের জীবন বদলাতে পারে নি সে বা¯—বে প্রত্য¶ করেছে। কিন্তু তাতে তার কোন কষ্ট হয় নি। বা¯—বিক আরাম আয়েশ আর দুনিয়ার ধন তার অতীতের জীবনকে ঘ্রাস করে পেলেছে। ভুলেগেছে দুঃখের কথা আনন্দ মাখা জীবনের ছোঁয়া পেয়ে। ঝর“ মিয়া ভাল আছে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এফ, আই , জুয়েল # গল্পটা অহেতুক বড় হয়ে গেছে । বাদবাকী বেশ গোছানো---সুন্দর ।
মিলন বনিক গল্পটা দীর্ঘ হলেও পড়ার একটা আকর্ষণ ছিল...কিন্তু বানান আর ফন্ট জটিলতায় বার বার ছেদ পড়ছে...লেকার পর বার কয়েক রিভিউ করে নিলে হয়তো অনেকটা ভূল ভ্রান্তি এড়ানো যেতো।
এশরার লতিফ একজন দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক উত্থানএবং অতীত ভুলে যাওয়ার কাহিনী.ভালো লাগলো।
সূর্য গল্পের লেখক যখন তৃতীয় পুরুষে কথা বলে তখন ভাষা ব্যবহারে আঞ্চলিকতা দুষ্ট প্রভাব ফেলে। আঞ্চলিকতা ডায়লগে (চরিত্রের কথপোকথনে) যায় তবে বক্তার ক্ষেত্রে কথ্য গল্পে চললেও লিখায় সেটা ভালো লাগে না। তার সাথে ছিল কিছু সাধু রীতির শব্দ এবং ফন্ট ভাঙ্গার জটিলতা। এই কারনগুলোতেই সুন্দর গল্পটা পাঠক মন্তব্য বঞ্চিত হচ্ছে। ভালো লাগলো গল্প।
Lutful Bari Panna গল্পটা চমৎকার। ফন্ট জটিলতা আর কী কারণে যেন পড়ে উঠতে সমস্যা হয়েছে। তারপরও দারুণ লাগল।

২১ জানুয়ারী - ২০১৩ গল্প/কবিতা: ০ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "নগ্নতা”
কবিতার বিষয় "নগ্নতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ মে,২০২৪